বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত টুঙ্গিপাড়ার মেয়েরা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৪-১২-২০২৪ ০৫:২৮:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৪-১২-২০২৪ ০৫:২৮:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সপ্তপল্লী জোয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুস্মিতা মৈত্র। বিদ্যালয় থেকে বাড়ি প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার দূরে। তাই সঠিক সময়ে ও নিয়মিত বিদ্যালয় উপস্থিত হতে পারত না। উপজেলা প্রশাসন থেকে বাইসাইকেল পাওয়ার পর সঠিক সময়ে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওই শিক্ষার্থী।
শুধু সুস্মিতা মৈত্র নয়, তার মত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ১৯টি বিদ্যালয়ের আরও ২৪ নারী শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসব বাইসাইকেল বাছাইকৃত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপহার দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক। বাইসাইকেল পেয়ে খুবই আনন্দিত বিদ্যালয়গুলোর নারী শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে তারা ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ , যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে নিয়ে প্রচার চালাবে বলে জানিয়েছে।
সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুস্মিতা মৈত্র বলেন, 'বিদ্যালয় থেকে আমাদের বাড়ি ৬-৭ কিলোমিটার দূরে। যাওয়ার সময় ভ্যান গাড়ি না পাওয়ায় সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারতাম না। কৃষক বাবার একটা বাইসাইকেল কিনে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। এখন সাইকেল প্রশাসন থেকে পাওয়া চালিয়ে বিদ্যালয়ে সঠিক সময় উপস্থিত হতে পারব। ভালোমতো পড়াশোনা করে দেশের জন্য কাজ করবো।'
বাঁশবাড়িয়া ঝনঝনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফসানা মিমি সেতু বলেন, 'বিদ্যালয়ে আসতে অধিকাংশ দিন ভ্যান গাড়ি পেতে দেরি হতো। তাই সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে আসতে পারতাম না আর এসেম্বলিও ধরতে পারতাম না। এখন সাইকেল পাওয়ায় খুবই উপকার হয়েছে। সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারব আর টাকা ও সময় সাশ্রয় হবে।'
গোপালপুর পঞ্চ পল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অন্তি মন্ডল বলেন, 'বাবার একটি বাইসাইকেল কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই। অনেক সময় স্কুল শুরুর পর শ্রেণি কক্ষে ঢুকতে হত। কিন্তু এখন আর দেরি হবে না। প্রশাসন থেকে বাইসাইকেল পেয়েছি সেটা চালিয়েই সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারবো।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, নারী শিক্ষার প্রসার ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। দরিদ্রতা যেন তাদের পড়াশোনায় বাঁধা সৃষ্টি না করতে পারে তাই বাছাই করে ১৯টি বিদ্যালয়ের ২৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থীকে একটি করে বাইসাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও পাঁচশ’ দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স